সবচেয়ে কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ (সাথে মিরিক ও শিলিগুড়ি)
দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ

দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ: দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরতে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইদানিং খুব সহজ হয়ে গিয়েছে।বাংলাদেশি পর্যটকের কাছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া অনলাইন করার পর থেকে ভারতে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি বেড়ে গিয়েছে। আজকাল মানুষ বাজার করতে কলকাতায় এসে ভিড় জমাচ্ছে। পাশাপাশি ঘুরাঘুরি তো আছেই।তবে যাহাই হউক না কেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভারতের যেই জায়গাটি নিয়ে মানুষের বেশি আকর্ষণ, সেটি হচ্ছে দার্জিলিং। আপনিও চাইলেই অতি সহজেই দার্জিলিং ভ্রমণ করতে পারেন। এর জন্য সারা দেশেই বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানী নানা ধরনের দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ দিয়ে থাকে।

দার্জিলিং পরিচিতি:

পাহাড়ের উপরে অবস্থিত স্বপ্নের মতো সুন্দর এই শহরটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত।

যদি আপনার পাসপোর্ট ও ভিসা সব কিছু প্রস্তুত থাকে, তাহলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ করে আসতে পারেন।

এই ক্ষেত্রে আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে দার্জিলিং ভ্রমণ করার এক বিশেষ সুযোগ।

আপনি চাইলেই আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর সবচেয়ে কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ টি উপভোগ করে আপনি ভ্রমণে খুঁজে পাবেন এক অনাবিল তৃপ্তি। একমাত্র আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস বাংলাদেশের মধ্যে সব থেকে কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমন সহ ভালো সার্ভিসের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এই প্যাকেজে দার্জিলিং ভ্রমণ খরচ আর কোথাও পাবেন না।

দার্জিলিং প্রকৃতি:

অন্য কথায় দার্জিলিং শহরটি শৈল শহরের রানী নাম পরিচিত।

দার্জিলিং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, হিমালয়ের রেলওয়ে ও চা এর জন্য দার্জিলিং খুবই বিখ্যাত।

তাছাড়া ব্রিটিশ রাজ্যের সময় থেকেই দার্জিলিং প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে যখন এটি গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসেবে গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন গোর্খা রাজধানী টি পূর্বে দার্জিলিং এ ছিল। পরে ব্রিটিশদের উপহার হিসেবে সিকিমের মহারাজা দার্জিলিং উপহার করেন। মনোরম জলবায়ু ও সৌন্দর্যের কারণে দার্জিলিং সবার কাছে জনপ্রিয় ছুটি কাটানোর গন্তব্য হয়ে আসছে। দার্জিলিং শুধু পর্যটনের জন্যই জনপ্রিয় নয়, বরং ব্রিটিশ শৈলিযুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির জন্য বিখ্যাত যা প্রতিবেশী জ্ঞান পিপাসু ছাত্র-ছাত্রীদের মূল আকর্ষণ।

সংস্কৃতি ও মানুষ:

গোমাংস এবং মসুর দিয়ে ভাত খেতে এখানকার স্থানীয় মানুষদের খুব পছন্দের খাবার।

তাছাড়া গানড্রাক (গাঁজানো সরিষা পাতা), মম (সবজি বা মাংস দিয়ে পিঠার মত খাবার), চ্যাং (স্থানীয বিয়ার) এবং থুপকা (নুডলস এবং মাংস দিয়ে তৈরি একটি ঘন স্যুপ) জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার।

দার্জিলিং ভ্রমণে উপযুক্ত সময়:

দার্জিলিং ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে বসন্ত ও শরৎকাল। অতএব মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বসন্তকাল এইখানে বিরাজমান করে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত শরৎকাল বিরাজমান করে।

কোথায় থাকবেন:

দার্জিলিং এ থাকা ও খাওয়ার জন্য অনেক হোটেল আছে। তবে চেষ্টা করবেন হোটেল যেন মল রোডের আসে পাশে থাকে। কারণ হোটেল খুব বেশি নিচু হলে খাবার-দাবার ও শপিং করতে আপনাকে বার বার হেটে হেটে উঁচুতে উঠতে হবে যা কিনা খুবই কষ্টসাধ্য বেপার। আর হোটেল যদি উঁচুতে হয় তাহলে চেক করে নিবেন যে বাথরুমে গিজার আছে কিনা, কারণ দার্জিলিং এ অনেক ঠান্ডা পড়ে যা কিনা আমাদের সহ্য ক্ষমতার বাহিরে। গিজার না থাকলে অন্য কোনো হোটেল দেখেন। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা খুব কষ্টকর বেপার।

দার্জিলিং এর দর্শনীয় স্থানসমূহ:

দার্জিলিং এ ঘুরার মতো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা আপনাকে খুবই মুগ্ধ করবে। নিচে কয়েকটি স্থানের নাম দেয়া হলো:

  • রেলওয়ে স্টেশন ঘুম যা কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত।
  • প্রায় ১০,০০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে সূর্যোদয় দেখতে পারবেন।
  • ঘুম মোনাস্ট্রি প্রার্থনা স্থান আছে যা কিনা বিশ্ব বিখ্যাত।
  • বাতাসিয়া লুপ স্মৃতিসৌধ পাহাড়ি বাঘ Snow Lupard খ্যাত দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
  • হিমালায়ন মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট যা পাহাড়ি অভিযান শিক্ষাকেন্দ্র নাম পরিচিত।
  • তেনজিং রক স্মৃতিস্তম্ব যিনি সর্বপ্রথম এভারেস্ট জয় করেন।
  • এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড় প্রায় ১৬ কিলোমিটার কেবল কার দিয়ে ভ্রমণ।
  • বিখ্যাত ব্ল্যাক টি পানের অভিজ্ঞতা যা হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেন এ বসে খাবেন।
  • তিব্বতিয়ান সেলফ হেলপ্ সেন্টার যা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থী কেন্দ্র
  • দার্জিলিং গোরখা স্টেডিয়াম যা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ৮,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
  • দার্জিলিং মিউজিয়াম।
  • বৌদ্ধ বিহার জাপানিজ টেম্পল।
  • লাল কুঠির যা ব্রিটিশ আমলের সরকারী নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
  • আভা আর্ট গ্যালারি যা বিশ্ববিখ্যাত শৈল্পিক নিদর্শন।
  • দিরদাহাম টেম্পল একটি শতবর্ষের প্রাচীন মন্দির।
  •  রক গার্ডেন ও গঙ্গামায়া পার্ক।
  • হিমালয় কন্যা কাচ্চনজঙ্গা
  • ভিক্টরিয়া ফলস
  • দ্যা মল

দার্জিলিং কেনাকাটা:

লাডেন-লা রোডের কোল ঘেঁষে রয়েছে রয়েছে দার্জিলিং এর অসংখ ছোট বড় মার্কেট। দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র সবকিছুই পেয়ে যাবেন ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে। মূলত এইখানে সব থেকে যে ভালো জিনিসটা পাবেন সেটি হচ্ছে শীতের কাপড়। মাফলার, হাতমোজা, কানটুপি, সোয়েটারসহ লেদার জ্যাকেট সবকিছুই মন মতো পাবেন। তাছাড়াও আছে নেপালি শাল, শাড়ি যা আপনাকে পছন্দ করতে বাধ্য করবে। কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রতারিত হবে সম্ভাৱনা খুবই কম। এছাড়াও ভ্রাম্যমান ফেরি করে অনেক তরুণ-তরুণী জিনিসপত্র বিক্রি করে। তাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা না করে উত্তম।

আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ:

তাই দার্জিলিং যদি কম খরচে ঘুরে আসতে চান, তাহলে দার্জিলিং ভ্রমন বাইরোড ভ্রমণ করা সব থেকে ভালো। সেজন্য আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস বাইরোডে দার্জিলিং ঘুরে আসার জন্য খুব অল্প খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজ এর ব্যবস্থা করেছে যা কিনা বাংলাদেশে সেরা দার্জিলিং প্যাকেজ। আমাদের প্যাকেজ এর মূল্য খুবই কম। মাত্র ১৩,৯৯৯ /= টাকায় কম খরচে দার্জিলিং ভ্রমণ করে আসতে পারবেন।

ভ্রমণপথ:

  • প্রথম দিন : প্রথমে আমরা ঢাকা কল্যাণপুর বাস কাউন্টার থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিব. ৪৩০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে প্রায় ৮ ঘন্টা লাগবে।
  • দ্বিতীয়  দিন : শ্যামলি কাউন্টার / মানিক এক্সপ্রেস দার্জিলিং যেতে ৩ ঘন্টা। তারপর আমরা বুড়িমারি বর্ডার এ এসে পৌঁছাবো। এইখানে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে ভারতে প্রবেশ করবো। শিলিগুড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে বিরতি নেয়ার পর দার্জিলিং হিল রিসোর্ট এ গিয়ে আমরা পৌঁছাবো। সন্ধ্যায় Hill Queen ঘুরবো (মলে ভ্রমণ করবো). দাজিলিং এ রাত্রিযাপন করবো।
  • তৃতীয় দিন : তারপর সকালে নাস্তা করে দার্জিলিং এর চারপাশে দেখবো। তাছাড়াও Japanese Temple, Peace Pagoda, AvaArt gallery, Rock Garden, HMI, Zoo, Tenzing Rock, Tea garden এইগুলা ঘুরাঘুরি করবো। সন্ধ্যায় মল ও মার্কেটে ঘুরাঘুরি শেষে দার্জিলিং এ রাত্রি যাপন করবো।
  • চতুর্থ  দিন : সকালের শুরুতে টাইগার হিল মাউন্ট দেখতে যাবো। তাছাড়াও Kanchanzungha, Batasia Loop Warmemorial & Ghoom Monastery স্থান দর্শন করবো। তারপর আবার হোটেল এ আসবো। তারপর বাকি সময়টা কেনাকাটা ও Kanchanzungha দেখবো। তারপর দার্জিলিং এ রাত্রি যাপন করবো।
  • পঞ্চম দিন: শ্যামলি কাউন্টার হয়ে মিরিক যেতে ৪ ঘন্টা লাগবে। মিরিকের কাছে স্থানান্তর করার পরে। পথে নেপাল সীমান্ত উপভোগ করবো। মিরিক লেক মধ্যে নৌকা। সিলিগুরিতে দুপুরের খাবার বিরতি। দুপুরের খাবারের জন্য ঢাকায় আসার পথে শ্যামলি বাস কাউন্টারে লাঞ্চের পর। ভারতীয় প্রস্থান ও বাংলাদেশ এন্ট্রি। রাতারাতিবা যাত্রা। সকালে ঢাকায় পৌঁছান।

প্যাকেজে যা যা অন্তর্ভুক্ত:

  • ঢাকা-শিলিগুড়ি-ঢাকা (এসি বাস।)
  • ৩ রাত হোটেল, দার্জিলিংয়ের টুইন শেয়ারিং এ্যাপার্টমেন্ট।
  • প্রতিদিনের হোটেলের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, এবং ডিনার (শুধুমাত্র দার্জিলিং)
  • প্রিজেট কার / জিপ দ্বারা দার্জিলিং হোটেল স্থানান্তর শিলিগুরি বাস স্ট্যান্ড।
  • দার্জিলিং হোটেল থেকে শিলিগুড়ি বাস স্ট্যান্ড স্থানান্তর প্রাইভেট কার / জিপ দ্বারা
  • দৈনিক দর্শনীয় স্থান জন্য গাড়ী / জিপ দ্বারা পূর্ণ সময় পরিবহন।
  • সমস্ত পরিবহন পারমিট, প্যাট্রোল এবং পার্কিং চার্জ।
  • সমস্ত প্রযোজ্য হোটেল ট্যাক্স এবং সেবা চার্জ।

প্যাকেজের বাহিরে:

  • কেনাকাটা
  • ব্যক্তিগত খরচ
  • পোর্টার চার্জ
  • দর্শনীয় ভ্রমণের সময় এন্ট্রি টিকেট
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিধস, সড়ক অবরোধ, রাজনৈতিক ব্যাঘাত, ইত্যাদি কারণে সৃষ্ট কোনও খরচ (ক্লায়েন্ট দ্বারা বহন করা যা সরাসরি স্পটে প্রদেয়)
  • ভিসা ফি = ৮৫০ টাকা
  •  সরকারি কর = ৫০০ টাকা
  • বর্ডার টিপস = ৭০০ টাকা

সর্বোপরি একটি কোথায় বলতে চাই যদি আপনি দেশের বাহিরে ভালো ছুটি কাটাতে চান তাহলে দার্জিলিং যাওয়াটা হবে সব থেকে ভালো বুদ্ধি এবং আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর এই দার্জিলিং ভ্রমণ প্যাকেজটি হবে একটি আদর্শ ট্যুর প্যাকেজ।

Read more blog

Written by: Hasan Saifullah Rahat

Comments

Leave a Reply