ঘুরে আসুন শান্তি ও সৌন্দর্যের নগরী ভূটান
শান্তি ও সৌন্দর্যের নগরী ভূটান

শান্তি ও সৌন্দর্যের নগরী ভূটান : পৃথিবীতে যদি কোনো স্বপ্নময় স্বপ্নের দেশ থেকে থাকে সেটা হচ্ছে ভুটান। এ যেন শান্তি ও সৌন্দর্যের নগরী। পৃথিবীর প্রায় বহু মানুষই ভূটানকে ছবির মতো সুন্দর বলে কিন্তু ভুটান এমন একটি নগরী যা কিনা ছবির থেকেও অনেক বেশি সুন্দর। যদি কেউ ছুটিতে ভুটান যেতে চান তাহলে দেখতে পাবেন অনেক উঁচু উঁচু পাহাড়। কোনো কোনো পাহাড় এর মাথায় দেখতে পাবেন বরফ দিয়ে ঢেকে আছে আবার কোনো কোনো পাহাড় দেখতে পাবেন বরফ গলিয়ে বের হয়ে এসেছে চক চকে পাথর। সূর্যের রোদ যখন পাথর গুলোর উপর পরে, তখন ঠিক যেন পাথর গুলো হীরার মতো চকচক করছে। ভূটান নগরীকে আপনি যতবার দেখবেন এর প্রতি আপনার মায়া ততই বেড়েযাবে। প্রকৃতির দিক থেকে ভুটান অনেক সুন্দর। শহরটা এর থেকে আরো বেশি সুন্দর। পাহাড়ের গা ঘেষে ঘেষে গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত সবকিছু। পাহাড় কেটে কেটে তৈরি হয়েছে সব রাস্তাগুলো। ঠিক যেন মনে হবে সাঁপের মতো পেঁচিয়ে আছে। রাস্তার দুপাশে প্রচুর পরিমাণের আপেল, কমলা ও আঙ্গুর গাছ দেখতে পারবেন যা আপনাকে এক অসাধারণ অনুভূতি এনে দিবে।এইটাতো মাত্র ভূটানের প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা বললাম কিন্তু ভূটান সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু জেনে নিলে ভ্রমণের মজাটা আরো দ্বিগুন বেড়ে যাবে এবং ভূটান গেলে আপনার মনে হবে আপনি যেন এক মায়াবি কল্পনার জায়গায় এসেছেন।

ভুটানের আয়তন:

ভূটানের আয়তন হচ্ছে মাত্র ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার যা কিনা খুবই অতি ক্ষুদ্র এবং পুরো দেশটাই ছোট বড় পাহাড় দিয়ে ভরা। পৃথিবীতে ভুটানই একমাত্র দেশ যা কিনা কার্বন নেগেটিভ। অর্থাৎ তারা যতটুকু কার্বন উৎপন্ন করে ঠিক তত পরিমান কার্বন শোষণ করে। ভূটানের আয়তন এতই ছোট যে সেখানে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার মতো সমতল জায়গা নেই। ভুটানের আয় মাথাপিছু গড়ে ১ হাজার ৫০ মার্কিন ডলার। এই দেশে কোনো বড় শিল্পকারখানা নেই। লোকসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। বিদ্যুৎ, ফল এবং পর্যটন হচ্ছে এইদেশের মূল আয়ের উৎস। জীবনযাত্রার ব্যয় বলতে গেলে খুবই কম। পানির দাম খুবই কম।

ভুটানের সংস্কৃতি ও মানুষ:

ভূটানে তামাক জাতীয় দ্ৰব্য নিষেধ। তবে পর্যটক ব্যতিত। অবশ্য এইখানে ২০০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। বাংলাদেশী খাবারও এইখানে পাওয়া যায়। তাই ভূটানকে শান্তি ও সৌন্দর্যের নগরী বলা হয়। তাছাড়াও ভূটান খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এদেশের মানুষ খুবই শান্তি প্রিয় এবং মানুষের ব্যবহারে খুবই মুগ্ধ হবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ভূটানই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে এম্বাসির সংখ্যা খুবই কম। শুধু বাংলাদেশ এবং ভারত পররাষ্ট্র দপ্তর রয়েছে।

কিভাবে যাবেন:

বাংলাদেশের সাথে ভূটানের কোনো সীমান্ত নেই। তাই ভূটানে যেতে হলে সড়কপথে ভারত থেকে ফুন্টশোলিং সীমান্ত হয়ে যেতে হবে। প্রতিদিনই ফুন্টশোলিং থেকে দিনের বেলার বাস ছাড়ে। পৌঁছাতে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা সময় লাগবে। আর যদি বিমানে যেতে চান, ভূটানের সরকারী বিমান সংস্থা ড্রুক এয়ার আছে। আকাশপথে ভূটানে যেতে হলে এটাই একমাত্র এয়ারলাইন্স। ২০-২২ হাজার টাকা পড়বে রিটার্ন টিকেট মূল্য। বাংলাদেশে ড্রুক এয়ারের প্রধান কার্যালয় বাংলামোটরের ১২ নম্বর সোনারগাঁ রোডের সোনারতরী টাওয়ারে অবস্থিত। ঐখান থেকে সরাসরি টিকেট কাটলে মূল্য খুব কম পড়বে। অবশ্য ড্রুক কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থাও করে থাকে। প্যাকেজের আওতায় থাকবে থাকা-খাওয়া, যাওয়া-আসা এবং সাইট সিইং সহ আরো অনেক কিছু। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকায় বিমানে ভুটান ভ্রমণ এর মধ্যেই আরাম আয়েশে বেড়িয়ে আসতে পারবেন। তবে এত টাকায় মধ্যবিত্তদের জন্য খুবই ব্যয়বহুল হয়ে যায়।

আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর ভুটান প্যাকেজ:

তাই ভূটানে যদি কম খরচে ঘুরে আসতে চান, তাহলে ভুটান ভ্রমন বাইরোড ভ্রমণ করা সব থেকে ভালো। সেজন্য আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস বাইরোডে ভূটান নগরী ঘুরে আসার জন্য খুব অল্প খরচে ভুটান ভ্রমণ প্যাকেজ এর ব্যবস্থা করেছে যা কিনা বাংলাদেশে সেরা ভুটান প্যাকেজ। আমাদের প্যাকেজ এর মূল্য খুবই কম। মাত্র ৯৯৯৯/= টাকায় কম খরচে ভুটান ভ্রমণ আপনি ভূটানঘুরে আসতে পারবেন।

তাছাড়াও আপনাদের অনেক প্রশ্নের জবাব এই খানে পেয়ে যাবেন যা আপনার ভ্রমণের জন্য কাজে আসবে। শুধু আপনাদের একটু কষ্টকরে পড়তে হবে। পড়া শেষ হলে আমরা আপনার কাছে কোনো টাকা চাবো না এতটুকু নিশ্চিত থাকুন।

ভুটান ভিসা প্রসেস:

আপনি অবাক হবেন এই বিষয়টা জেনে যে শান্তি ও সৌন্দর্যের নগরী ভূটানে যেতে বাংলাদেশ সহ অনেক দেশেরই কোনো ভিসা লাগে না। তাই বলতে পারেন যে ভিসা জটিলতায় আপনাকে একেবারেই পড়তে হবে না। তবে আপনি যদি বাই রোডে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইন্ডিয়ার ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইটা না জানার কারণে আমাদের খুব কাছের একটি প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দেশ ভ্রমণ করা হয় না। তাছাড়াও বাই রোডে ভূটানে যেতে চাইলে আপনাকে ইন্ডিয়ার ভিসা সহ আরো অনেক কিছু জানতে হবে।

তবে আপনি যদি আরডি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর ভূটান ট্যুর প্যাকেজটি উপভোগ করেন তাহলে আপনাকে এতো ভিসা প্রসেসিং জটিলতায় পড়তে হবে না। আমরাই সব ব্যবস্থা করে দিবো।

ভুটানে কি কি দেখবেন:

ভুটানের দর্শনীয় স্থান গুলোর কিছু বিবরণ দেয়া হলো –

থিম্পু: ভুটানের রাজধানী হচ্ছে থিম্পু যা ভুটানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত। হিমালয় পর্বতমালার উঁচু উপত্যকায় শহরটি অবস্থিত। আশেপাশের উপত্যকা এলাকায় উৎপাদিত কৃষি দ্রব্যের বাজার কেন্দ্র হচ্ছে থিম্পু শহরটি। এখানে কাঠ ও খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ভূটান দেশের অন্যান্য অংশ হচ্ছে থিম্পু এবং দক্ষিণে ভারতের সাথে একটি মহাসড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত। মাত্র ১ লক্ষ লোক এইখানে বসবাস করে। তাই এইখানে পরিবেশটা খুব শান্ত ও নিরিবিলি পাবেন।

থিম্পুজং: (Fortress of The Glorious Religion)ভূটানের রাজধানী থিম্পু শহরের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে থিম্পু জং। এটি তৈরি হয়েছে ১৬৬১ সাল। এখানে আছে দ্যা ন্যাশনাল এসেম্বলি, সরকারি ডিপার্টমেণ্ট, রাজার থ্রোন রুম এবং সেন্ট্রাণ মনাষ্টিক বডির গ্রীস্মকালীন হেডকোয়ার্টাস।

মেমোরিয়াল কর্টেন:এটি একটি স্মৃতিস্তম্ভ। স্মৃতিস্তম্ভ ভূটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙচুকের। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে এটি তৈরি করা হয়। এর ভেতরের বিভিন্ন পেইণ্টিং এবং স্ট্যাচু বৌদ্ধ ফিলোসফির প্রতিবিম্ব।

থিম্পু পুনাখা:পুনাখা থিম্পু শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অত্যন্ত সুন্দর কারুকার্য দিয়ে শোভিত এই পুনাখা। যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে এইখান থেকে হিমালয় দর্শন করতে পারবেন। পুনাখা হচ্ছে ভুটানের সবথেকে ভালো উর্বর ভ্যালি। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পুনাখা জং, মো ছু নদী এবং ফো ছু। ফো চু(বাবা) ও মো চু (মা) নদীর পাশে লক্ষ্মী মেয়ের মতো পুনাখা যা কিনা বর্তমানে ভুটানের শীতকালীন রাজধানী। পুনাখা জং ওয়াং ডু উপত্যকার উপরে অবস্থিত। এইখানে রয়েছে রাজকীয় স্থাপত্যশৈলী। আসে-পাশে জ্যাকারান্ডা গাছ আছে। এই গাছ মার্চ-এপ্রিলে প্রচুর পরিমাণে ফুলে ভরে থাকে৷

পারো:পারো হচ্ছে ভুটানের অন্যতম আকর্ষণ। ছোট্ট এই পারো শহরটি হিমালয়ের কোলে অবস্থিত। পারো ভ্যালির উপর প্রচুর ধান চাষ হয়। বসন্ত ঋতুতে পারোর রুপ দেখে আপনি চমকে যাবেন। মাথায় রয়েছে পরিষ্কার নীল আকাশ এবং পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধবধবে সাদা নদী। এযেনো এক নীল-লাল-সবুজের সমাহার। পারো থেকে কিছু সাইট সিইং রয়েছে যেমন গুম্ফা, পারো জং এবং পারো মিউজিয়াম।

টাইগার নেস্ট: টাইগার নেস্ট হচ্ছে পারোর সব থেকে বড় আকর্ষণ। পর্যটন এবং ধর্মীয় দিক থেকে জায়গাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৮০ কিলোমিটার দূরে মনাষ্ট্রি পারো থেকে এইটি একটি ক্লিফের উপর অবস্থিত। খুব সুন্দর করে হেটে উঠার পথটা তৈরী করা হয়েছে। সর্বমোট ৬ হাজার ফুট হেটে আশা যাওয়া করতে হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে এইখানে একটি সুন্দর কফি হাউজ রয়েছে। ভুটানের স্পটগুল এতই বিখ্যাত যে কোন পর্যটকই এইসব জায়গা মিস করতে চাননা। তাই আর দেরি না করে ওয়াংচুক রাজার দেশে ভ্রমণ করার জন্য এখনই তৈরী হোন।

ভূটানে কোন সময়ে ভ্রমণ করা উচিত:

ভুটান ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস।

ভ্রমণপথ:

  • ০ দিন: রাত ৭ টায় ঢাকা থেকে ভুটানের উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা শুরু।
  • ১ম দিন: সকাল আমরা বুড়িমারি বর্ডারে পৌছাবো। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে সুমো জিপে আমরা রওনা দিব জয়গার উদ্দেশ্যে। জয়গাও পৌছে ভারত এবং ভূটানের ইমিগ্রেশন ও পারমিটের কাজ সম্পূর্ণ করে জয়গাও/ফুয়েন্টসোলিং এর হোটেলে চেকইন। বিকালে নিজেদের মতো করে চমৎকার শহরটির সৌন্দর্য উপভোগ করব। রাত্রি যাপন জয়গাও/ফুন্টশোলিং এ ।
  • ২য় দিন: সকালের নাস্তা করে আমরা পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা বেঁয়ে থিম্পুর উদ্দেশে যাত্রা করব। আঁকাবাঁকা যাত্রাপথের কোন এক সময় মনে হবে পুরো ফুয়েন্টসোলিং শহর পাখির চোখে দেখছেন। পথিমধ্যে চোখ জুড়ানো পাহাড়ি বন, ভুটানের ট্র্যাডিশনাল ঘরবাড়ি, নান্দনিক পাহাড়ের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। দুপুরে আমরা থিম্পু পৌছাবো। দুপুরের খাবার খেয়েই আমরা চলে যাব থিম্পুর দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে । একে একে দেখবোঃ ন্যাশনাল লাইব্রেরী ( যেখানে বিশ্বের সবছেয়ে বড় প্রকাশিত বই সংরক্ষিত আছে), ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, ন্যাশনাল মেমোরিয়াল, রয়েল প্যালেস, আরচারি গ্রাউন্ড, বুদ্ধাপয়েন্ট, চাংখা লাখাং, বিবিএস টাওয়ার, লোকাল মার্কেট । রাত্রি যাপন থিম্পুতে।
  • ৩য় দিন: সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা চলে যাব পারোর অন্যতম আকর্ষণ টাইগার নেস্টের উদ্দেশ্যে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সেখান থেকে আমরা Mount Jomolhari এর চূড়া (24,000 ft) দেখতে পারবো। পারোতে আমরা আরো উপভোগ করবো পারোর অন্যতম দর্শনীয় স্থান Drugyel Dzong, সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত Kyichu Lhakhang, এশিয়ার সেরা ন্যাচারাল ইতিহাস সমৃদ্ধ জাদুঘর পারোর ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও অন্যতম আকর্ষণ পারো ডোজং। রাত্রি যাপন পা্রোতে।
  • ৪থ দিন: সকালে নাস্তা সেরে আমরা যাত্রা করব ফুয়েন্টসোলিংএর উদ্দেশ্যে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা বেয়ে নামবো প্রায় ৬৫০০ ফিট নিচে আর সাথে চোখ ধাঁধানো দৃশ্য তো আছেই। ভূটান এবং ভারতের ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বিকেল/সন্ধ্যায় আমরা চলে যাব বুড়িমারিতে। এবার আমাদের ঢাকায় ফেরার পালা।বর্ডার এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে এসি বাসে ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করবো। সকালে পৌছে যাব ঢাকায়।

আমাদের প্যাকেজে যা যা থাকছে:

  • ঢাকা- বুড়িমারি-ঢাকা এসিবাস
  • বুড়িমারি থেকে জয়গা সুমোজিপ/ বাস
  • ৩ রাত স্ট্যান্ডার্ড হোটেলে রাত্রি যাপন (প্রতি রুমে জন)
  • ভিসা প্রসেসিং
  • অভিজ্ঞ গাইড
  • সকল সাইটসিং ও ট্র্যান্সফার

প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত নয়:

  • ভিসা ফি -৮৪০/-টাকা
  • ট্রাভেল ট্যাক্স -৫০০/-টাকা
  • খাবার
  • ব্যক্তিগত খরচসমুহ
  • এনি বর্ডার টিপস -৬০০/-টাকা

 

Read more blog

 

Written by: Hasan Saifullah Rahat

Comments

Leave a Reply